আবু সাঈদের চিঠি
মাআমাকে ক্ষমা করে দিও।
যাবার আগে তোমাকে জানাতে পারিনি।
বাবা, সুমি কাউকেই জানাতে পারিনি।
তোমার সাথে শেষ বারের মতো রাতের খাবারটাও খাওয়া হলো না।
সেদিনের উতপ্ত দুপুরে
আমি সোচ্চার হয়েছিলাম
অধিকার আদায়ের আন্দোলনে।
আমার ও আমার মতো হাজারো সন্তানের জন্য।
একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য।
বিশ্বাস করো মা?
এরচেয়ে বেশি কিছু নয়!
সমগ্র দেশ যখন উত্তাল
বুকের মাঝে অদম্য সাহস নিয়ে
নিরস্ত্র আমরা।
ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম আমরা তবুও ভেঙে পরিনি।
চোখে আমাদের নতুন স্বপ্ন।
আমাদের ঘিরে রেখেছে অসংখ্য পুলিশ।
যেন আমরা রাজাকারের সন্তান।
আমি তো পরাজিত নই
বুক সটান করে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
হঠাৎ করেই আমাকে লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়া হলো।
আমাকে গুলি ছোড়া হয়েছে এটা ভেবেই
আমি বিস্ময়ে নির্বাক হয়েছিলাম
আমি তবুও দাঁড়িয়ে ছিলাম।
কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে
আর একটি গুলিতে বিদ্ধ করা হলো আমাকে।
এবার আমি কিছুটা ব্যাথা অনুভব করলাম
কিন্তু নুয়ে পরিনি।
তোমার কথা মনে পরছিল মা,
শৈশবে যেভাবে তুমি আমাকে আগলে রাখতে
আমার নানা রঙের দিন গুলিতে।
এরপর আরও একটি গুলি আমার বুকে!
আমার দৃষ্টি কিছুটা ঝাপসা হতে শুরু করেছিল।
এবার আমি আর দাঁড়াতে পারিনি মা।
প্রচন্ড ব্যাথায় কাতর আমি
শেষ বারের মতো দেখার চেষ্টা করছিলাম
আমার প্রিয় শহর যেখানে আমার বেড়ে ওঠা
যেখানে আমার আর ফিরে না আসা।
মা,
সুমিকে বলো আমি ওকে অনেক ভালবাসি।
বাবার জন্য কষ্ট হয়
জীবন সায়াহ্নে এসে আমার লাশ কাধে নিতে হলো।
এটা বাবার জন্য কতটা ভারি তা আমি জানি।
আমি ইতিমধ্যেই পণ্য হয়ে গেছি মা!
আমার নামে টিশার্ট পাওয়া যায়।
আমাকে নিয়ে কবিতা লেখা হচ্ছে
গান রচিত হচ্ছে
আমার ছবি এখন ফেসবুকে সবার প্রোফাইলে থাকে।
আমি জাতিসংঘের আলোচনায়।
সেদিন জানলাম সরকার নাকি তোমাদের টাকা দিয়েছেন!
আমার জীবনের মূল্য কত নির্ধারণ করা হয়েছে মা?
আমার জীবনের মূল্যে কি তোমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে?
এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এ মিছিল আমাদের যৌবনের
হত্যা করেছে।
কিন্তু আমরা পরাজিত নই
আমরা একবারই মৃত্যু বরন করি।
বিজয়ের দিনে আমার কপালে শুধু
তোমার হাতটা রেখো।
অনেক ভালো থেকো মা।
তোমার আবু সাইদ
১৬ জুলাই ২০২৪
যাবার আগে তোমাকে জানাতে পারিনি।
বাবা, সুমি কাউকেই জানাতে পারিনি।
তোমার সাথে শেষ বারের মতো রাতের খাবারটাও খাওয়া হলো না।
সেদিনের উতপ্ত দুপুরে
আমি সোচ্চার হয়েছিলাম
অধিকার আদায়ের আন্দোলনে।
আমার ও আমার মতো হাজারো সন্তানের জন্য।
একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য।
বিশ্বাস করো মা?
এরচেয়ে বেশি কিছু নয়!
সমগ্র দেশ যখন উত্তাল
বুকের মাঝে অদম্য সাহস নিয়ে
নিরস্ত্র আমরা।
ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম আমরা তবুও ভেঙে পরিনি।
চোখে আমাদের নতুন স্বপ্ন।
আমাদের ঘিরে রেখেছে অসংখ্য পুলিশ।
যেন আমরা রাজাকারের সন্তান।
আমি তো পরাজিত নই
বুক সটান করে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
হঠাৎ করেই আমাকে লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়া হলো।
আমাকে গুলি ছোড়া হয়েছে এটা ভেবেই
আমি বিস্ময়ে নির্বাক হয়েছিলাম
আমি তবুও দাঁড়িয়ে ছিলাম।
কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে
আর একটি গুলিতে বিদ্ধ করা হলো আমাকে।
এবার আমি কিছুটা ব্যাথা অনুভব করলাম
কিন্তু নুয়ে পরিনি।
তোমার কথা মনে পরছিল মা,
শৈশবে যেভাবে তুমি আমাকে আগলে রাখতে
আমার নানা রঙের দিন গুলিতে।
এরপর আরও একটি গুলি আমার বুকে!
আমার দৃষ্টি কিছুটা ঝাপসা হতে শুরু করেছিল।
এবার আমি আর দাঁড়াতে পারিনি মা।
প্রচন্ড ব্যাথায় কাতর আমি
শেষ বারের মতো দেখার চেষ্টা করছিলাম
আমার প্রিয় শহর যেখানে আমার বেড়ে ওঠা
যেখানে আমার আর ফিরে না আসা।
মা,
সুমিকে বলো আমি ওকে অনেক ভালবাসি।
বাবার জন্য কষ্ট হয়
জীবন সায়াহ্নে এসে আমার লাশ কাধে নিতে হলো।
এটা বাবার জন্য কতটা ভারি তা আমি জানি।
আমি ইতিমধ্যেই পণ্য হয়ে গেছি মা!
আমার নামে টিশার্ট পাওয়া যায়।
আমাকে নিয়ে কবিতা লেখা হচ্ছে
গান রচিত হচ্ছে
আমার ছবি এখন ফেসবুকে সবার প্রোফাইলে থাকে।
আমি জাতিসংঘের আলোচনায়।
সেদিন জানলাম সরকার নাকি তোমাদের টাকা দিয়েছেন!
আমার জীবনের মূল্য কত নির্ধারণ করা হয়েছে মা?
আমার জীবনের মূল্যে কি তোমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে?
এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এ মিছিল আমাদের যৌবনের
হত্যা করেছে।
কিন্তু আমরা পরাজিত নই
আমরা একবারই মৃত্যু বরন করি।
বিজয়ের দিনে আমার কপালে শুধু
তোমার হাতটা রেখো।
অনেক ভালো থেকো মা।
তোমার আবু সাইদ
১৬ জুলাই ২০২৪
-------------------------
৩ আগস্ট ২০২৪
কবিতাটির অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।
#AbuSayed #family #studentprotest
#AbuSayed #family #studentprotest #quotamovement #rangpur #BegumRokeyaUniversity
#studentprotest #banglablockade #quota #quotamovement
#studentprotest
#bangladesh
#আবু_সাঈদ
#কোটা_সংস্কার
#কোটা_বাতিল
#কোটা_আন্দোলন_২০২৪
#কোটাআন্দোলন২০২৪
#কোটাসংস্কার
#কোটা_বিরোধী_আন্দোলন
#abusayeed #abu_sayed #quotamovement2024 #savebangladeshistudents
#sad #কবিতা #poetry
#আবুসাঈদ
No comments:
Post a Comment