দ্যা লাস্ট সাপার - ২
---------------------
ইদানিং ভাত খেতে পারিনা।
টেবিলে খাবার নিয়ে বসলেই
ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা এক যুবক।
আমাকে ফরাসি ভাষায় জিজ্ঞেস করে
ব্যজু ম্যসিও!
আমি তাকিয়ে থাকি তার দীপ্ত চেহারার দিকে।
চেয়ার টেনে যুবক আমার সামনে বসে।
কেন খেতে পারছেন না?
আমি তো খেয়েছি। রাতভর খেয়েছি।
হাসিমুখে খেয়েছি
অবলীলায় খেয়েছি
যা পৃথিবীর কেউ হয়তো খায়নি।
লাস্ট সাপারের পর কি হয়েছিল তা কেউ জানেনা। কিন্তু আমার লাস্ট সাপারের পর যা হয়েছিল তা গোটা পৃথিবী জানে।
আমার পেইন্টিং তো সে রাতেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
সিগার খাবেন?
যুবকটি জিজ্ঞেস করে আমাকে।
খাবেন? কিউবান সিগার!
শ্রেষ্ঠ সিগার।
আমাকে এত খাইয়েছেন এরপর একটা সিগার না হলে হয়!
ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা যুবক সিগার জ্বালিয়েছে।
ধোঁয়ার মাঝে তার স্থির চেহারা
ঠোঁটের কোনায় হাসি।
আচ্ছা, জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন হয়েছে কী দেশের?
ছাড়ুন এসব,
আমি এখন প্যারিসে।
ভিনসেণ্ট ভ্যানগগের সাথে থাকি।
আপনারা যারা শিল্প ও শিল্পীর দেশ হিসেবে প্যারিসকে জানেন তারা ভুল জানেন।
এদেশ মৃতদের দেশ। প্রেমে ব্যর্থ মজনুদের দেশ। লাস্ট সাপারের অতিথিদের দেশ।
এবার বলুন তো, আমার জন্য কি কেউ কোন প্রস্তুতি নিয়েছে বা নিচ্ছে মামলা টামলা করার? নাকি অপুর্ব এক নাটক সাজিয়ে দেবেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ে সে রাতে কারো বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল!
আপনারা পারেনও সাহেব!
খুব ক্রিয়েটিভ ভাবে পারেন
মিউজিক্যাল
ড্যান্সিং এরপর
মব জাস্টিস।
আমার তো দেশে ঠাঁই হলোনা।
প্রেতাত্মা হয়ে প্যারিসে ভবঘুরে জীবন।
প্রার্থনা করি আমার লাস্ট সাপারের অতিথিদের সাথেও মব জাস্টিস হোক।
বন্যুই ম্যসিও!
----------------------------
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
No comments:
Post a Comment