ঠিকানা


 







ঠিকানা

ঝড়ের কাছে আমার ঠিকানা খুজোনা।
পাবেনা।
পাহাড়ের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। তাই পাহাড়ের কাছেও আমার ঠিকানা পাবেনা।
বৃষ্টিতে অনেক আগেই ধুয়ে মুছে গেছে
আমার ঠিকানা। ওখানেও সম্ভবনা নেই আমার ঠিকানা পাবার।
একদিন মেঘ সরিয়ে আকাশ দেখতে গিয়ে
মাঝ আকাশে হারিয়ে ফেলি আমার ঠিকানা। আমিতো আমার নিজের ঠিকানা এখনো খুজে ফিরি!
তুমি পাবে কী করে?
কোন এক জোছনায় নীলপদ্মের সন্ধানে গিয়েও ঠিকানা হারিয়ে ছিলাম।
চায়ের কাপে, তোমার ঠোটে, উবারে, লিফটে এমনকি তিরস্কারেও হারিয়েছি আমার ঠিকানা বহুবার।
কম করে পঞ্চাশ হাজার বার হারিয়েছি আমার ঠিকানা।
একজন মানুষ জীবনে ঠিক কতবার
ঠিকানা হারায় বলতে পারো?
আমি কিছুদিন বিলেতে ছিলাম।
বিলেত খুব গোছানো দেশ
ওখানে চাইলেও হারানো যায়না!
রাস্তার সবখানে পথের দিশা দেয়া থাকে।
আমাকে এখন বিলেতেও পাবেনা।
আমি বিশ্বের সকল পথ হারিয়েছি
সাথে আমার ঠিকানাও।
আমি এখন ঠিকানার প্রয়োজন অনুভব করিনা।
পৃথিবীতে অগনিত মানুষের ঠিকানা নেই।
তারা ঠিকানার কথা ভাবেনা।
কাওরান বাজার ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে গোলাকার ঝুড়িতে গোল হয়ে অনেক মানুষ ঘুমিয়ে থাকে।
সেই ঝুড়িই তাদের ঠিকানা।
কুকুর আর মানুষ যখন একসাথে ঘুমিয়ে থাকে তখন সেই আলিংগনই তাদের ঠিকানা।
আমি এখন নেই রাজ্যের বাসিন্দা।
এটাই আমার ঠিকানা।
আমাকে খুজোনা,
পাবেনা।
ঠিকানা বিহীন কাউকে পাওয়া যায়না।
তাদের পেতে নেই।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

No comments:

Post a Comment



আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ নীল মানবের কাব্য I ১০ ফেব্রুয়ারির পর পাওয়া যাবে নবান্ন প্রকাশনীর স্টলে I অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ নবান্ন প্রকাশনী।। স্টল নং ৪৮৪--৪৮৫

দিয়াশলাই আবিস্কারক জন ওয়াকারের ২৪২তম জন্মবার্ষিকী ২৯ মে ২০২৩। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একজন দিয়াশলাই সংগ্রাহক হিসেবে আমার ছোট্ট প্রয়াস -জন ওয়াকার ও দিয়াশলাই। এটি একটি স্মল সাইজ বা পকেট সাইজ বই। মুলত শিশু কিশোরদের জন্য এই বইটি। তবে যেকোন বয়সের পাঠকদের কাছে বইটি ভালো লাগবে আশা করি। এ বইটি প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য, দিয়াশলাই সংগ্রহের মত সুন্দর একটি বিষয়কে সবার সামনে তুলে ধরা। শিশু কিশোরদের ভালো কাজ তথা কোন না কোন সংগ্রহে উদ্বুদ্ধ করা। কারণ শখ ও সংগ্রহ আমাদের আনন্দের পাশাপাশি শিক্ষিতও করে তোলে। জন ওয়াকারের জীবন ও আবিষ্কার এ বইটিতে সচিত্র ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রকাশিত হবে ২৯ মে ২০২৩ আপনারা চাইলে সংগ্রহে রাখতে পারেন । ধন্যবাদ।