ধূসর জীবন











আমার শরত হেমন্ত
শীত বা বসন্তের
পৃথক কোন রঙ নেই।
সবই ধূসর।
সাদা কালো টেলিভিশনের জায়গা
দখল করে নিয়েছে রঙিন টেলিভিশন বহুকাল আগেই
এরপর এইচডি ফোর কে আরও কত কী এসেছে!
ঠিক করে এখনো তাদের নামও জানা হয়ে ওঠেনি।
রঙের ঝলসানিতে শহর, মানুষ, জীবন, আকাশ, বাতাস, জোছনাও হয়ে ওঠে হাই ডেফিনিশন রঙিন।
ফিল্টারের এ-যুগে
কৃষ্ণকলি হয়ে ওঠে স্বপ্নের হাতছানি।
শুধু আমিই ধূসর রয়ে গেলাম।
ধূসর আমার জীবন
ধূসর আমার দৃষ্টি
ধূসর আমার আলিংগন।
আমার ধূসর জীবনে নেই
জীবনানন্দের পদচারণা
অথবা জিম মরিসনের।
কোন এক দিন ভুল করে
একজন রমনী আমার ধূসর পথে
পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
রমনীর সম্বল ছিল
একটি বিশেষ আলিংগন।
কোন এক ভর দুপুরে
কয়েক ডজন চোখ ফাকি দিয়ে তার প্রেমিক তাকে দিয়েছিলেন
একটি স্বর্গীয় আলিংগন।
সেই থেকে আজ অব্দি
রমনী পথ হেটে চলেন।
কিসের আশায় জানিনা।
হয়তোবা আরও একটি আলিংগনের
অথবা তার হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকের।
আমি তাকে বলেছিলাম -
আমার ধূসর থেকে ধূসরতম
জীবনের গল্প।
যেখানে স্বপ্ন নেই
স্বপ্নের মাঝে জোছনা নেই
জোছনার মাঝে আলিংগন নেই।
আলিংগনের মাঝে স্বর্গ নেই।
আমার ধূসর পথ ধরে রমনী হেটে চলেছেন
কোন এক রঙিন গন্তব্যে।
আর ভিনসেণ্ট আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
তার হাসিতে কেপে ওঠে আমার ধূসর পথ।
আমার কাধে হাত রেখে ভিনসেণ্ট বলে-
বন্ধু আমার, ধূসরতাও একটি রঙ।
---------------------
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

No comments:

Post a Comment



আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ নীল মানবের কাব্য I ১০ ফেব্রুয়ারির পর পাওয়া যাবে নবান্ন প্রকাশনীর স্টলে I অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ নবান্ন প্রকাশনী।। স্টল নং ৪৮৪--৪৮৫

দিয়াশলাই আবিস্কারক জন ওয়াকারের ২৪২তম জন্মবার্ষিকী ২৯ মে ২০২৩। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একজন দিয়াশলাই সংগ্রাহক হিসেবে আমার ছোট্ট প্রয়াস -জন ওয়াকার ও দিয়াশলাই। এটি একটি স্মল সাইজ বা পকেট সাইজ বই। মুলত শিশু কিশোরদের জন্য এই বইটি। তবে যেকোন বয়সের পাঠকদের কাছে বইটি ভালো লাগবে আশা করি। এ বইটি প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য, দিয়াশলাই সংগ্রহের মত সুন্দর একটি বিষয়কে সবার সামনে তুলে ধরা। শিশু কিশোরদের ভালো কাজ তথা কোন না কোন সংগ্রহে উদ্বুদ্ধ করা। কারণ শখ ও সংগ্রহ আমাদের আনন্দের পাশাপাশি শিক্ষিতও করে তোলে। জন ওয়াকারের জীবন ও আবিষ্কার এ বইটিতে সচিত্র ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রকাশিত হবে ২৯ মে ২০২৩ আপনারা চাইলে সংগ্রহে রাখতে পারেন । ধন্যবাদ।