মেঘ বালিকা
বারো হাজার ফুট উপরে
খুব কাছ থেকে মেঘ দেখছিলাম।
এটি আমার দেখা প্রথম মেঘ নয়।
বহুবার দেখেছি,
একবার মেঘ ছুয়েও দেখেছিলাম।
পৃথিবীর সব দেশের মেঘ একি রকম দেখতে।
তবুও মেঘ গুলো দেখতে খুব ভালো লাগছিল।
বিমান বালার ডাকে ফিরে তাকালাম,
আমার জন্য কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
কফি নয় তার বুকে লাগানো নামের ব্যাজটিতে চোখ আটকে গেল!
তোমার নামেই বিমান বালার নামটি।
আমি যতই ফেরারি হতে চাই,
এ জীবন থেকে এবং তোমার থেকে
ততই স্মৃতির হ্যান্ডকাফে বন্দী হই।
তুমি নামের কারাগারে
আমার জন্য অপেক্ষা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।
বিমান বালার হাত থেকে কফির কাপটি নিলাম।
এজ ইউজুয়াল একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে গেল বিমান বালাটি।
তার মিষ্টি হাসিটি ছিল একটি
ছদ্দবেশী নকল হাসি।
প্রতিদিন তাকে এভাবেই হাসতে হয়। অসংখ্য যাত্রীর হাতে তুলে দিতে হয় কফির কাপ।
বেশির ভাগ পুরুষ যাত্রীর কাছে কফির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার উন্নত বক্ষ বা নিতম্ব!
সে নিজেও জানে বিষয় টা।
কফির কাপটি হাতে দিয়ে বিমান বালাটি হারিয়ে গেল এয়ারবাসের কোন এক প্রান্তে।
কিছুদিন আগে ঠিক এমনি ভাবেই
তুমিও হারিয়ে গেলে।
ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যেই ডিলিট করে সব কিছু।
কী আশ্চর্য ক্ষমতা তোমার!
চাইলেই গড়তে পারো
অথবা ধ্বংস!
বাই দ্যা ওয়ে
তুমি বিমান বালাটির চেয়েও সুন্দরী
অথবা যদি বলি, মেঘের চেয়েও তুমি সুন্দরী
তবে ভুল হবেনা।
যেখানেই হারিয়ে যাও,
মেঘ সরিয়ে আমিও তোমাকে খুজবো না।
কারণ আমি জানি,
পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে
তোমার সাথে আমার দেখা হবে একদিন।
হয়তো এ শহরে বা পৃথিবীর কোন শহরে।
অথবা বারো হাজার ফুট উপরে
নীল সাদা কোন মেঘের মাঝে।
----------------------
১৫ ডিসেম্বর ২০২২
খুলনা
No comments:
Post a Comment