শুভ জন্মদিন
গতকাল
অর্থাৎ ত্রিশ জুন
চলে গেল।
এবার কেন যেন সেকথা কেউ মনে রাখেনি
অথবা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি।
যে মনে রেখেছে,
সে আমাকে উইশ করেছে
তিনটে বেজে পনের মিনিটে।
প্রচন্ড অভিমানে এই বিলম্ব
এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হলো।
রাত আটটায় আমার ছেলে
তার ঘর থেকে উকি মেরে বললো
হ্যাপি বার্থডে!
আমি আমার বাবাকে কোনদিন
হ্যাপি বার্থডে বলেছি বলে মনে পড়েনা।
কারণ আমার বাবাকে আমি ভীষণ ভয় পেতাম।
আমি জানিনা
"হ্যাপি বার্থডে বাবা"
এ কথাটা শোনার জন্য তিনি অপেক্ষা করতেন কিনা।
এখন আমি আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি।
রাত ন'টার কিছু পরে
আমার ছেলে তিন ধরনের তিনটি
ফ্যামিলি সাইজ পিজ্জা নিয়ে এলো
আমাকে ট্রিট দেয়ার জন্য।
ওর জমানো টাকা দিয়ে বাবাকে ট্রিট দিয়েছে।
ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম
অনেক বড় হয়েছে ছেলেটি আমার।
ওর ছোট্ট দুটো হাত স্পর্শ করে
আমি দেশান্তরি হয়েছিলাম কোন একদিন।
তাই ছেলেটির শৈশব আর ঘাস ফড়িং এর দিন গুলো দেখা হয়নি আমার।
যখন ফিরে এলাম
তখন আমার ছেলের বয়স প্রায় দশ বছর।
ফুল হাতে বিমানবন্দরে আমার জন্য
অপেক্ষা করছিল।
মুখে হাসি।
কেন যেন মনে হচ্ছিল -
হ্যাপি বার্থডে কথাটি বলার জন্য
বলার জন্য ছেলেটা আমার
এভাবেই অপেক্ষা করছিল আজ।
আমি ক্রমশই বার্ধক্যের দিকে যাচ্ছি
দরিদ্র হচ্ছি
মূল্যহীন হচ্ছি।
যেকোনো সময় আমার সকল বসন্ত
স্তব্ধ হবে।
ঝরা পাতার মত মিলিয়ে যাবো
সীমাহ আকাশে।
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
তবে কী?
চলে যাওয়া মানে কষ্ট
ভীষণ কষ্ট
ভীষণ কষ্ট।
--------------
১ জুলাই ২০২৩
No comments:
Post a Comment